নভেম্বর ৯, ২০২৪

আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে অবস্থান বদলাতে পারে ঢাকা। তবে, এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এছাড়া মার্কিন প্রতিনিধিদের ঢাকা সফরে কথা হবে জিএসপি সুবিধা নিয়ে। সেক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন চালু নিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে ঢাকা ।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে আমেরিকার আগ্রহ বাড়তে থাকে ২০১৮ সাল থেকে। এর পর পরই আসে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) ঘোষণা। আর এর লক্ষ্য, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো। তবে বিশ্লেষকদের মত, এ অঞ্চল ঘিরে চীনা প্রভাব মোকাবিলাই এ কৌশলের লক্ষ্য।

এতে যোগ দেওয়া নিয়ে তাই ভারসাম্য রেখেই এগোচ্ছিল ঢাকা। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নিয়ে দেওয়া রূপরেখায় অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় আগ্রহ থাকলেও সামরিক প্রশ্নে অনীহা ছিল বিগত সরকারের।

অন্তর্বর্তী সরকারকে দৃঢ় সমর্থন জানালেন ১৯৮ বিশ্বনেতাঅন্তর্বর্তী সরকারকে দৃঢ় সমর্থন জানালেন ১৯৮ বিশ্বনেতা
এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে কথা বলতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। এ সফরে দেশটির রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের সঙ্গে থাকছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, আইপিএসসহ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা ইস্যুতেই আলোচনা করবে ঢাকা-ওয়াশিংটন। তবে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে কথা হবে কি-না তা নিশ্চিত নয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটা একেবারেই সম্ভব না, সেটাও আমি বলি না। পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে আমাদের অবস্থান হয়ত পরিবর্তন হতেও পারে। প্রতিনিধি দল আসছে, তারা তো সব কিছু নিয়েই আলাপ আলোচনা করবে, শুধু ইন্দো–প্যাসিফিক না। মার্কিন প্রশাসনের সাথে আমরা ভালো সম্পর্ক চাই সব সময়। আমি নিশ্চিত যে আগামীতে হয়ত আমরা আরও সমন্বিতভাবে আরও ভালো সম্পর্ক রাখতে পারব।’

জিএসপি প্রশ্নেও শ্রম অধিকার নিশ্চিতে ট্রেড ইউনিয়ন চালু কথা বলে আসছিল আমেরিকাসহ দাতা সংস্থাগুলো। এ নিয়ে আগের সরকারের অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে ঢাকা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...