সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে ১১ রান দূরে শতকের আশা বিসর্জন দিতে হয়। তাতে নাজমুল হোসেন শান্তর আক্ষেপ ছিল না। দুদিন বাদেই মাস্ট উইন গেইমে পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

দেশে ছাড়ার আগে শান্ত পেয়েছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার। প্রথমবারের মতো হয়েছেন পুত্র সন্তানের বাবা। তাদের ঘর আলো করে আসা সেই সন্তান যেন শান্তর জন্য পয়া হয়েছেন। তাইতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরিটি উৎসর্গ করেন সদ্যভূমিষ্ঠ পুত্রকে।

ইনিংস ব্রেকে শান্ত বলেন, ‘আমি এই সেঞ্চুরি আমার পুত্র সন্তানকে উৎসর্গ করছি। আমি খুব খুশি।’

বাংলাদেশ টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে। শান্তর পাশাপাপাশি দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান মেহেদি হাসান মিরাজও। ১০১ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানে ফেরেন রানআউট হয়ে।

৬৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পর শুরু হয় শান্ত-মিরাজের জুটি। দুজনে যোগ করেন ১৯৪ রান। যা এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ইমরুল কায়েস-জুনায়েদ সিদ্দিকির ১৬০।

শান্ত আউট হলেও মিরাজ মাঠ ছাড়েন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ১১২ রান। ১১৯ বলে এই রান করেন তিনি। শেষ দিকে সাকিব আল হাসান খেলেন ক্যামিও ইনিংস। ১৮ বলে ৩২ আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে লড়াকু পুঁজি। দায়িত্ব এখন বোলিং বিভাগের। শান্ত জানান বোলাররা সামর্থ্য অনুযায়ী বোলিং করতে পারলে দিনটি হবে বাংলাদেশের।

শান্ত বলেন, ‘উইকেটের আচরণ ভালো দেখাচ্ছে। আমাদের মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ রয়েছে। যদি আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ী বোলিং করতে পারি আমি মনে করি আমরা ম্যাচটি জিততে পারবো।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *