কান্নাভেজা চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। চট্টগ্রামের একটি অভিজাত হোটেলে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে অবসরের এই ঘোষণা দেন তামিম। গতকালই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর এর পরদিনই দিলেন অবসরের ঘোষণা।
নিজ শহরে ৩৪ বছর বয়সী এই ওপেনার বিদায় জানানোর সময় তিনি বলেন, ‘আমার আসলে বেশি কিছু বলার নেই। একটা কথা বলতে চাই। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সেটা যথেষ্ট ছিল নাকি ছিল না তা আমি জানি না। তবে আমি যখনই মাঠে ছিলাম শতভাগ চেষ্টা করে গেছি। আমি যখন এতো বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, আমার জন্যে বিদায় নেয়া কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলেছি যে, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য। আমি নিশ্চিত নই, আমি তাকে কতোটা গর্বিত করতে পেরেছি। গত ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক মানুষ আছে যাদের আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার একজন চাচা, যিনি ইন্তেকাল করেছেন.. আকবর খান… ওনার হাত ধরেই আমার প্রথম ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট খেলা। আমি তাকে এবং তার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। এম এ আজিজে তপনদা নামে একজন কোচ আছেন যার কাছে আমি ছোটোবেলা থেকে অনুশীলন করেছি। আমি তাকেও ধন্যবাদ জানাই। আমি যেসব ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি তাদের ধন্যবাদ জানাই। যাদের সাথে আমি অনূর্ধ্ব- ১৩, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯ খেলেছি, বা প্রিমিয়ার লিগ, ন্যাশনাল লিগ, ন্যাশনাল টিম বা যাদের সাথেই আমি খেলেছি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে জাতীয় দলে আমার যেসব সতীর্থ আছেন তাদেরকে। ক্রিকেট বোর্ডকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তারা আমাকে সুযোগ দিয়েছে। একইসাথে অধিনায়কত্ব করার সুযোগও তারা দিয়েছে।’
বিদায় বেলায় তামিমের নামের পাশে আছে ১৫ হাজারের বেশি রান। ৭০ টেস্টে ৩৮.৮৯ গড়ে তার রান পাঁচ হাজার ১৩৪। সেঞ্চুরি ১০টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১টি। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এবং সেঞ্চুরি তার। ২৪১টি ওয়ানডে খেলে ৩৬.৬২ গড়ে তামিমের রান ৮ হাজার ৩১৩। ১৪ সেঞ্চুরির পাশে এখানে হাফ সেঞ্চুরি ৫৬টি। এই সংস্করণে দেশের হয়ে রান, সেঞ্চুরি, ফিফটি, সবকিছুতেই তিনি সবার ওপরে।