ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি কয়েক দিন আগেই স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। বিচ্ছেদ ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব উপস্থিতি দেখা গেছে মাহিকে। প্রায় প্রতিদিনই ফেসবুকে নিজের অনুভূতি, বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করছেন তিনি। যার অধিকাংশই ইঙ্গিতপূর্ণ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় একটি ভিডিওবার্তা দেন মাহিয়া মাহি।
চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, প্রেম করার সময় বুঝা যায় না, বিয়ে করলে বুঝা যায় কার কী প্রবলেম। আমার যে এত এত প্রবলেম নিশ্চয়ই রাকিব বিয়ের আগে বুঝেনি, তেমিন রাকিবের বিষয়ে আমিও বুঝিনি। ওর যেগুলো প্রবলেম ছিল সেগুলো পরে দেখেছি। একসঙ্গে যখন থাকব তখন ভালো লাগবে। আর যখন সম্পর্ক নাই হয়ে যাবে, তখন আর শত্রু হব— আমি আর রাকিব এ ক্যাটাগরির মানুষ না।
মাহি বলেন, সব সময় আমরা বলতাম, কোনো দিন যদি আমরা একসঙ্গে না থাকি, তা হলে সব শেষ দুজন দুজনের শত্রু হয়ে গেলাম আমরা এ রকম না। রাকিব জীবন থেকে অতীত হয়েছে, আমি ওর (রাকিবের) জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের একজন আছে, যিনি আমাদের দুজনকে আবার এক হওয়াতে পারে। যদি টান থেকে থাকে তা হলে বাচ্চাটার জন্যই হতে পারে। আমি হচ্ছি ফারিশের মা, রাকিব সরকার ফারিশের বাবা। তার জন্য দুজনের প্রতি সর্বোচ্চ রেসপেক্ট থাকবে।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান মাহি। ভিডিওতে তিনি বলেন, এ রকম ভিডিও করতে হবে সেটি কখনো ভাবিনি।
তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের জন্য এটা বলাটা উচিত। সবার জানা উচিত। আমি আর রাকিব সরকার আসলে খুব আন্ডারস্টান্ডিং থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। একপর্যায়ে মনে হয়েছে দুজন দুজনের জন্য না।
এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কখনো স্ট্যাটাস, কখনো ফেসবুকে ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন এই চিত্রনায়িকা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। তাদের ঘরে রয়েছে পুত্রসন্তান ফারিশ।
এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। আর ২০২১ সালের ২২ মে পাঁচ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী। এর পরই রাকিবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় আসে।