বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমরা আপনাদের কাছে চাই, আপনারা যেন আমাদের গাইড করেন। আমাদের তারুণ্য এমন যে, এটাকে আপনি যেকোনো শেপ (রূপ) দিতে পারেন। আমাদেরকে শেপ দেওয়া যায়, গাইড করা যায়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডি টিআইবির কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে টিআইবির আয়োজনে ‘নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন: তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটি মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, উপস্থাপক ও গণমাধ্যমকর্মী ফারাবি হাফিজ, তরুণ কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন প্রমুখ।
হাসনাত বলেন, আপনারা সবাই সহযোগিতা না করেন তাহলে হয়ত আমরা সঠিক পথে থাকতে পারব না। ২০২৪-এ এসে যেন ৭১, ৯০ এর পুনরাবৃত্তি না হয়। স্বপ্ন, প্রত্যাশা নিয়ে ২৪ এর আন্দোলন হয়েছিল, তাতে সবার চেষ্টায় সফল হয়েছে। আর এখন ২৪ এর আন্দোলন পরবর্তী সময়ের পথ চলায় যেমন একজন রিকশা চালককে সম্পৃক্ত করতে হবে, তেমনি মিরপুরে গৃহকর্মী ছাত্রদের শরবত বানিয়ে খাইয়েছিল তাকেও পরবর্তী পথ চলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যে কারণে ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিল, তাদের যে চাওয়াটা সেটা যেন আমরা ভুলে না যাই। এ সব কিছুর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ভলানটিয়ার হিসেবে কাজ করছি, আমরা কিন্তু কোনো অথরিটি না। তবে আমাদের কাজকে আরও সুন্দর করতে আপনাদের সহযোগিতা পরামর্শ, গাইড করার কাজটি খুব প্রয়োজন। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে কিন্তু সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছিল, এখন আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কিন্তু তাদের প্রয়োজন কী, কোন চাহিদার কারণের তিনি আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন, সেসব বিষয় চিহ্নিত করে তাদের চাহিদাটা কিন্তু পূরণ করতে হবে। তবেই তাদের এই আন্দোলনে আসা কিন্তু সার্থক হবে মনে করবে তারা।