ছয় বছরেরও বেশি সময় পর আবারও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মঙ্গলবার দলের কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
জিও নিউজ জানিয়েছে, পিএমএল-এনের আর কোনো নেতা শীর্ষ পদের জন্য দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে দলীয় সভাপতির নির্বাচনে নওয়াজের কাগজপত্র অনুমোদিত হয়।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজহার আব্বাস জিও নিউজকে বলেন, নওয়াজ পিএমএল-এনের হাল ধরবেন এটাই প্রত্যাশিত ছিল।
পাঞ্জাবে পিএমএল-এনকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নওয়াজ কোন পথ দেখাবেন তা দেখার বিষয়।
দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য নিউজ জানিয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে নওয়াজ শরিফের দলের সভাপতি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ মে-কে ইউম-ই-তাকবির দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৯৯৮ সালের এই দিনে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক পরীক্ষার জবাব দিয়েছিল।
এ উপলক্ষ্যে সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিনটিকে (২৮ মে) সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির রায়ের ফলে নওয়াজ প্রধানমন্ত্রীত্ব এবং তার দলের সভাপতির পদ উভয়ই হারান। তার পর থেকেই দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নওয়াজের ছোট ভাই ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
বড় ভাই নওয়াজ শরিফকে সভাপতির আসনে বসাতে ১৩ মে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
এর আগে লাহোরে সংবাদ সম্মেলনে পিএমএল-এন পাঞ্জাবের সভাপতি রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, ‘সর্বশেষ দলীয় বৈঠকে নওয়াজ শরিফকে সভাপতি করার বিষয়ে জ্যেষ্ঠ নেতারা একমত হয়েছেন। বৈঠকে অধিকাংশ নেতা মনে করেন, ২০১৮ সালে নওয়াজ শরিফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দলীয় সভাপতির কার্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।’
চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফেরেন নওয়াজ শরিফ। হাইকোর্টে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন।