সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টির পর শিশুরা বন্যার পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। ছবিটি ২০২২ সালের ৪ মে তোলা

আফগানিস্তানে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া বন্যায় শত শত বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বাঘলান ও বাদাখশান প্রদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে টোলো নিউজ জানিয়েছে।

এসব প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, বন্যায় ৫০০ বাড়ি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। টোলো নিউজের রিপোর্ট অনুসারে, ডান্ড-ই-ঘোরি, দোশি, পুল-ই-খুমরি শহর, মধ্য বাদাখশানের মোরচাক গ্রাম এবং এই প্রদেশের আরও কয়েকটি অংশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বাঘলানের পুলিশ কমান্ডের প্রধান আব্দুল গফুর খাদেম বলেছেন, ‘গত রাতে খুব শক্তিশালী বন্যা হয়েছে। আমাদের প্রধান হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বাঘলান প্রদেশের দোশি জেলার লারখাব এলাকায়। লারখাবে, তিনজনসহ প্রায় ছয়জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে এক শিশু, এক নারীসহ দুইজন পুরুষ রয়েছেন এবং বন্যায় ৩০০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

বাদাখশানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান মোহাম্মদ কামগার বলেছেন, বন্যার কারণে এক পরিবারের দশ সদস্য নিহত এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যার কারণে অনেকেই তাদের সমস্ত জিনিসপত্র হারিয়েছেন। এমনই বেশ কয়েকটি পরিবার ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি করায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। পরিবারগুলো তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহ নামে এক বন্যা দুর্গত বাসিন্দা বলেন, ‘বন্যায় আমার পরিবারের নয়জন সদস্য মারা গেছে। আমরা দুটি লাশ খুঁজে পেয়েছি, কিন্তু বাকিরা এখনও নিখোঁজ।’

জিয়াউল্লাহ নামে আরেক বন্যার্ত বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। আমাদের অনুরোধ, আফগানিস্তানের যে কোনো অংশে যা-ই বরাদ্দ করা হোক না কেন, আমাদের ভুলে যাবেন না।’

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যায় গত সপ্তাহে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বন্যায় শতাধিক আবাসিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *