স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে কোন নির্যাতন চালায়নি পুলিশ। তিনি আদালতে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মন্ত্রী বলেন, এ্যানির নামে লক্ষ্মীপুরে দুটি মামলা ছিল। তিনি জামিন নেননি। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতকে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত শরৎ উৎসবের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পুলিশ বিএনপি নেতা এ্যানির বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙেছে- এ অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী সব সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাজ করে। আমরা সব সময় বলে থাকি- যারা আসামি হয়ে যান বা মামলা হয়, বা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, তারা কোর্টে গিয়ে জামিন নিয়ে নেন। কিন্তু এ্যানি সাহেব জামিন না নেওয়াতে পুলিশ তাকে ধরতে যায়। এটা পুলিশের কর্তব্য। তাকে বলা হয়েছিল, তার আত্মীয়-স্বজনকেও অনুরোধ করা হয়েছিল দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু দরজা না খোলাতে পুলিশ দরজায় ধাক্কা দেয়, জোর করে দরজা ভাঙেনি।
তিনি বলেন, যারা ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামি তাদের কোর্টে গিয়ে জামিন নিতে হয়। কিন্তু এ্যানি সাহেব জামিন নেননি। তিনি কোর্টে যেটা বলছেন সেটাও অসত্য। কারণ তিনি নির্যাতনের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। থানা পুলিশ তাকে নির্যাতন করেনি। সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে, আমরা কোনো আলামত খুঁজে পাইনি। তাকে যে সাদা পোশাক পরা অবস্থায় আনা হয়েছিল, এখনো সেই অবস্থায় আছেন।
এর আগে, বুধবার রাতে এ্যানিকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে নেওয়া হয়। শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, আমি রাজনীতি করি। কোনো অপরাধ করলে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমাকে থানায় নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কোন যুগে বসবাস করছি। আমি কি চোর, না ডাকাত। আমি বিচার চাই।
এ্যানি আদালতকে আরও বলেন, গভীর রাতে পুলিশ আমার বাসা ঘিরে ফেলে। আমি পুলিশকে বলেছি ফজরের নামাজ পড়ে বের হচ্ছি। কিন্তু পুলিশ অপেক্ষা না করেই বাসার দরজা ভেঙে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ মারমুখী ছিল।
পরে আদালত এ্যানির বক্তব্য শোনার পর তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।