সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। আর বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে। তবে, বিদেশে চিকিৎসার জন্য কোনো আবেদন তার পরিবার করেনি। বিদেশের চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই, এ ক্ষেত্রে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

যুক্তরাষ্ট্র কাকে ভিসা দিবে কাকে দেবে না সেটি তাদের এখতিয়ার- এমন কথা তুলে দেশটির ভিসা নীতি প্রসঙ্গে এক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় থাকা কোনো তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আসেনি। পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়া লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা নিয়ে জটিল অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এরপর তিনি কারাবন্দি হন।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সেই থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *