ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। এর পরিবর্তে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পলিথিন ব্যাগ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।‌ ওই সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারশপে কোনো ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না। একই সঙ্গে ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।

গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরে পলিথিনের বিকল্প পণ্যের মেলায় উঠে আসে পরিবেশবান্ধব নানা পণ্যের সমাহার। সুপারশপে পলিথিন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং এসপিদের পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগ বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন তারা উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলেন, পণ্যের প্যাকেজিংয়ে প্লাস্টিকের উপযুক্ত বিকল্প না থাকায় পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। তাই প্যাকেজিংয়ের জন্য পাটের ব্যাগের চাহিদামতো সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশে কবে পলিথিন নিষিদ্ধ হয়?

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর বিধান অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালের ১ মার্চ বিএনপি সরকার দেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর পেরিয়েছে ২২ বছর। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, এরপর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শাসন করেছে। তবুও আইন থাকা সত্ত্বেও দেশে পলিথিন ব্যবহার রোধ করা সম্ভব হয়নি। পলিথিন ব্যবহার কমার বিপরীতে সুপারশপ থেকে সবখানেই বেড়েছে পলিথিনের ব্যবহার। ২০০২ সালের পর ফের আজ (১ অক্টোবর) থেকে সুপারশপে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...