চীন আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন তিন নভোচারীকে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। বেইজিংয়ের ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ) বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যে সর্বশেষ এই মিশনে নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে।
বেইজিং জানিয়েছে, শেনঝু-১৮ মিশনে তিন মহাকাশচারীকে বৃহস্পতিবার রাত ৮:৫৯ টায় (১২৫৯ জিএমটি) উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উড্ডয়নের কথা রয়েছে।
মিশনে নেতৃত্ব দেবেন যুদ্ধবিমানের পাইলট এবং নভোচারী ইয়েং গুয়াংফু। তিনি পূর্বে ২০২১ সালে শেনঝু-১৩ মিশনেও অংশ নিয়েছিলেন।
তিয়ানগং মহাকাশচারীদের সর্বশেষ ব্যাচ ছয় মাস কক্ষপথে অবস্থান করবেন। তারা সেখানে মহাকর্ষ এবং পদার্থবিদ্যার পাশাপাশি জীব বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন।
সিএমএসএ’র উপ-মহাপরিচালক লিন জিয়াকিয়াং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সকল প্রাক-লঞ্চ প্রস্তুতি সময়সূচী অনুযায়ী তৈরি রয়েছে।’
তিয়াংগং হল বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচির গৌরবোজ্জ্বল মুকুট, বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি ইতোমধ্যে মঙ্গল ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করেছে এবং কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর ক্ষেত্রে চীনকে বিশ্বের তৃতীয় দেশে উন্নীত করেছে।
নতুন ক্রু শেনঝো -১৭ দলের প্রতিস্থাপন করবে। তাদেরকে অক্টোবরে স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল।
চীনের ‘মহাকাশ স্বপ্ন’ এর পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে আরো জোরদার করা হয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন এখন মহাকাশ কর্মসূচিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াকে ধরার জন্য তার সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনে মহাকাশ কর্মসূচিতে বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি ক্রু মিশন পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছে।