দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া ও আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত চীনা নেতাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চীনের অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত ওয়েন।
ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত নিশ্চিত করেছেন, চীনা নেতারা দীর্ঘ দিনের লালিত সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে চীন এবং বাংলাদেশ উভয়ই একটি সংকটময় পর্যায়ে রয়েছে। উন্নয়ন আধুনিকায়নে চীন সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার এবং নির্ভরযোগ্য বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনায় চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে চীন বিরোধিতা করে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে। চীন বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে চীন সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে আরও উন্নত সহযোগিতা ও অবদান রাখতে পারে চীন-বাংলাদেশ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৯৯টিতে। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনে নির্বাচন আগেই স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণের দিন ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের একটি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনায় আটকে দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহ-৩ পুরো আসনের ফল।
নির্বাচনে ২৯৮টি আসনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে নৌকা প্রতীকে ২২৪টি আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীরা। ৬২টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। অন্যান্য দল থেকে জয়ের মুখ দেখেছেন এক প্রার্থী।