সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় বিএসইসির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে সকল কমিশনার ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আইএমএফ এর চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশনের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন চিফ পিয়াপর্ণ নিক্কি সোদশ্রী উইবুন।

বৈঠক শেষে এ বিষয়‌টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, মূলত বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নতুন আইন-কানুন ও পলিসি নির্ধারণ, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন ও সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রিসেন্ট মার্কেট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে মার্কেট লিক্যুইডিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ছিল। পরবর্তীতে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটা এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি নেমে আসে। বর্তমানে সেটা আরো কমে ৫০০ কোটি টাকা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আসন্ন নির্বাচন পরবর্তী পুঁজিবাজারের লিক্যুইডিটি আরো অনেক বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, মিচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও বন্ড মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পলিসি ইনিসিয়েটিভের ক্ষেত্রে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ডেরিভিটিভস মার্কেট চালু করার জন্য যে রুলস তৈরি করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রুলসটি গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। পরবর্তীতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আগামী বছরের মধ্যে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করা হবে।

কমিশন আরো জানিয়েছে, নতুন পলিসির অংশ হিসেবে রিয়েলস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই রিয়েলস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট রুলস গেজেট আকারে প্রকাশ করা জন্য পাঠানো হবে। সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্টে রিক্স কমানোর জন্য সিসিবিএল আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফুল ফ্লেজে অপারেশনে আসবে।

গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড ও অরেঞ্জ বন্ডের বিষয়ে কমিশন জানিয়েছে, এসব বন্ডে বিনিয়োগ করার বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে বন্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা আরো আগ্রহী হবেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে আইএমএফ জানতে চাইলে কমিশন জানায়, সরকারের এ সিদ্ধন্তটি যুগপোযগি সিদ্ধান্ত। এটার মাধ্যমে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে স্থিতিসহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কারণ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের যে তহবিল থাকবে, সেখান থেকে একটি অংশ পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ হবে বলে কমিশন প্রত্যাশা করছে। এতে বন্ডসহ অন্যান্য ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের চাহিদা অনেক বাড়বে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *