অ্যালার্জির কারণে প্রিয় অনেক খাবার বাদ দিতে হয় তালিকা থেকে। যে কারণে বঞ্চিত হতে হয় অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার থেকে। অ্যালার্জির কারণে বমি বমি ভাব, বমি, চোখ লাল হওয়া, বাত, জিহ্বার প্রদাহ, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাশে বা নীল ত্বক এবং ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবস্থা গুরুতর হলে জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। আপনিও যদি অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার জন্য একটি সুখবর আছে। এই সমস্যার জন্য যে খাবারগুলো বাদ দিতে হয়, তার বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
নারিকেল দুধ
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স দুধ প্রেমীদের জন্য চ্যালেঞ্জ। গরুর দুধের অ্যালার্জি পেট খারাপ এবং বাতের মতো সমস্যা ডেকে আনে। এক্ষেত্রে নারিকেল দুধ বিকল্প খাবার হিসেবে খেতে পারেন। দুধের তৈরি যেসব খাবার আপনাকে অ্যালার্জির কারণে বাদ দিতে হয়েছিল, সেগুলো তৈরির ক্ষেত্রে গরুর দুধের বদলে নারিকেল দুধ ব্যবহার করুন।
চিনাবাদামের বিকল্প
চিনাবাদামের অ্যালার্জির কারণে ফুসকুড়ি এবং খিঁচুনি হতে পারে। চিনাবাদামের বদলে আমন্ড বা টোস্টেড ওটস ব্যবহার করুন যা পুষ্টিকর এবং হৃদযন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর।
ময়দার বিকল্প
গমের গ্লুটেন বদহজম এবং ফুসকুড়ি বাড়াতে পারে। গমের ময়দার পরিবর্তে নারিকেল, বাদাম বা ওট ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। কর্ন স্টার্চ এবং চালের গুঁড়াও কার্যকরী বিকল্প।
ডিম ছাড়া বেকিং
ডিম খেলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। ডিমের অ্যালার্জির জন্য বেকড পণ্য তৈরিতে অন্য কোনো বিকল্প খুঁজতে হবে। কুকিজ, মাফিন এবং কেক তৈরির ক্ষেত্রে ডিম না দিয়ে বেকিং পাউডার, ম্যাশ করা কলা বা আপেলের পিউরি ব্যবহার করুন।
সামুদ্রিক খাবারের বিকল্প
সীফুড অ্যালার্জি মানে ওমেগা-৩ তেল এবং প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হওয়া। ফ্ল্যাক্সসিড তেল, বাদাম, বীজ, মসুর ডাল এবং মুরগির মাংস খেতে পারেন এর পুষ্টিকর বিকল্প হিসেবে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বিভিন্ন খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে এভাবে বিকল্প খুঁজে নিলেই আপনাকে আর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে না।