পিঠের চোট একেবারেই পিছু ছাড়ছে না শ্রেয়াস আইয়ারের। এর চিকিৎসা করাতে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমীতে গেছেন ভারতের মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন শ্রেয়াস। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, পিঠের চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে অস্ত্রোপচার ছাড়া বিকল্প নেই শ্রেয়াসের। আর এমনটা হলে আসন্ন আইপিএল তো বটেই, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচও খেলা হবে না নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারের।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, অস্ত্রোপচার করানোর জন্য নাকি শ্রেয়াসকে লন্ডনে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ৭ জুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের কথা মাথায় রেখে এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পুরোপুরি সরে এসেছে তারা।
শ্রেয়াসের ঘনিষ্ঠ জনৈক ব্যক্তি ভারতের একটি মিডিয়াকে বলেন, ‘সে (শ্রেয়াস) বিশেষজ্ঞ এবং এনসিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছে। সবাই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে অস্ত্রোপচার পেছানো যেতে পারে। তাকে শুধু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।’
শ্রেয়াসের চোটে বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেননা কলকাতার অধিনায়ক ছিলেন শ্রেয়াস। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে না পেয়ে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতিশ রানাকে দিয়েছে কলকাতা।
লম্বা সময় ধরেই পিঠের চোটে ভুগছেন শ্রেয়াস। এ কারণে মাঝে মধ্যেই জাতীয় দলের খেলা মিস করছেন তিনি। গত জানুয়ারিতে এই ইনজুরিতে পড়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি তিনি। একই কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টেও (নাগপুর টেস্ট) খেলা হয়নি নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারের। তারপর অবশ্য সিরিজের দ্বিতীয় (দিল্লি) এবং তৃতীয় (ইন্দোর) টেস্টে খেলেন শ্রেয়াস।
সিরিজের চতুর্থ টেস্টেও খেলেন তিনি। আর এই টেস্টে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তার পিঠের পুরোনো চোট। ফলে আহমেদাবাদ টেস্টে ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। তারপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের ওয়ানডে সিরিজও খেলা হয়নি তার।