জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আবারও আলোচনায় নিয়ে এসেছে তার অভিনীত ‘অসম্ভব’ চলচ্চিত্র। এই ছবির দর্শক প্রতিক্রিয়ায় দারুন মুগ্ধ নৃত্যের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা এই তারকা। বর্তমানে অভিনেত্রী হিসাবেই অধিক পরিচিত সোহানা সাবা নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে চলচ্চিত্রেও নিয়মিত। মুক্তি পাওয়া তার অভিনীত ‘অসম্ভব’ ছবি এবং নিজের বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সোহানা সাবা জানালেন, খুব শীঘ্রি তিনি নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হচ্ছেন।
মুক্তি পাওয়া অসম্ভব ছবির দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহানা সাবা বলেন, মাত্র তিন দিন হলো এটি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু দর্শক যেভাবে সাড়া দিচ্ছে তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত এবং আপ্লুত। তাদের এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের অভিনয়, ছবিটির গল্পের সঙ্গে তারা কানেক্ট করতে পারছে। এমনকী আমাদের সহকর্মী এবং ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছ থেকেও অনেক ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক হয়েছে। মুক্তি পাওয়া অসম্ভব ছবির দর্শক প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহানা সাবা বলেন, মাত্র তিন দিন হলো এটি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু দর্শক যেভাবে সাড়া দিচ্ছে তাতে আমি ভীষণ আনন্দিত এবং আপ্লুত। তাদের এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের অভিনয়, ছবিটির গল্পের সঙ্গে তারা কানেক্ট করতে পারছে। এমনকী আমাদের সহকর্মী এবং ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছ থেকেও অনেক ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক হয়েছে।
অসম্ভব ছবিতে তার কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই তারকা অভিনেত্রী বলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। মনেই হয়নি যে, অভিনয় করছি। অসম্ভব এর শুটিং হয়েছে অরুণা দি’র (ছবির পরিচালক অরুণা বিশ্বাস) মায়ের বাড়ি, অর্থাৎ মানিকগঞ্জে। তাই জোৎস্না মাসি (অভিনেত্রী জোৎস্না বিশ্বাস ও অরুণা বিশ্বাসের মা) আমাদের সঙ্গেই ছিলেন পুরো শুটিং জুড়ে। একদম পারিবারিক একটা পরিবেশে শুটিং করেছি আমরা। আর অরুণাদি নিজেই একজন অভিনয়শিল্পী। তাই অভিনয়, নির্মাণ এবং এর সংশ্লিষ্ট সব কাজ তিনি খুব ভালোভাবেই বোঝেন। তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা আমাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। তাই সব কিছু সুন্দরভাবে শেষ করেছি আমরা। তার কাছে পাল্টা প্রশ্ন ছিল – এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হয়েছে কিনা ? এর উত্তরে সোহানা সাবা বলেন, না, তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। ছবিটি দেখলেই দর্শক বুঝতে পারবেন ছবির গল্পটা যে তাদের খুব পরিচিত। যেনো পাশের বাড়ির কোনো গল্প বলা হয়েছে। তাই আলাদা করে কোনো চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে আসলে কাজে চ্যালেঞ্জ কম থাকে। কাজটা দর্শক পর্যন্ত পৌঁছানোটাই চ্যালেঞ্জিং। সত্যি কথা বলতে কী, এই ছবিটি দিয়ে আমরা সেটা করতে পেরেছি। অনেক দর্শক – ভক্তের অভিযোগ, তারা তাদের প্রিয় তারকাকে ইদানিং খুব একটা অভিনয়ে পান না ? এমন প্রশ্নে সোহানা সাবা’র উত্তর হলো – আমি কাজের ক্ষেত্রে একটু চুজি ও সিলেকটিভ। আমার এতদিনের ক্যারিয়ারে মাত্র পাঁচটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। এগুলোর মধ্যে আফসানা মিমি আপুর পরিচালিত ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই। ‘আয়না’, ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’ – সবই খুব ভেবে চিন্তে পছন্দ করেছিলাম। ধারাবাহিক না করার প্রধান কারণ, আমি এতে কাজ করে আরাম পাই না। আর ছবি কম করার কারণ গল্প পছন্দ হয় না। বারবার একই চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে স্কুলে হাজিরা দেওয়ার মতোই। তাই বৈচিত্র্য খুঁজি। তবে যা করেছি, যতটুকু কাজ করি আমি তাতেই সন্তুষ্ট।
বর্তমান সময়ে নিজের ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কিছুদিন অসম্ভব ছবিটির প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত থাকবো। বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ পরিদর্শন করবো। কিছু প্রমোশনাল ইভেন্ট আছে, শো আছে। এগুলো নিয়েই ব্যস্ততা। আফজাল (নির্মাতা – অভিনেতা আফজাল হোসেন) ভাইয়ের প্রথম ছবি ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ প্রস্তুত মুক্তির জন্য। আর কলকাতার নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি ‘এপার – ওপার’ এর কাজও শেষ। কোভিডের কারণে তখন আমরা ছবিটি যথা সময়ে মুক্তি দিতে পারিনি। দেখা যাক, কবে মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। ওটিটি নিয়েও কথা চলছে। এছাড়া খুব শীঘ্রি আমি আপনাদের সামনে নতুন একটা পরিচয়ে। সঙ্গত কারণেই সোহানা সাবা’র কাছে পাল্টা প্রশ্ন ছিল – কী সেই পরিচয় ? তিনি বলেন, একটা যোগব্যায়াম স্কুল খুলতে যাচ্ছি। সেখানে একজন যোগী বা যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক হিসাবে থাকবো আমি। এছাড়া এই স্কুলে আমার অর্গানিক ফুড প্রোডাক্টও থাকবে।