সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

 

অর্থ পাচারকারীরা পৃথিবীর কোনো দেশে গিয়েই শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) নতুন গভর্নর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পাচার করা টাকা দেশে ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। টাকা ফেরত আসলে তো ভালো, না আসলেও টাকা পাচারকারীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না।’

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ফলো করে যারা দেশ থেকে টাকা নিয়ে গেছে, তাদের স্বস্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না। দেশীয় আইনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও তাদের নাজেহাল করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল দায়িত্ব মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ উল্লেখ করে নবনিযুক্ত গভর্নর বলেন, আর্থিক খাত বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। কিছু ব্যাংকে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর জন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে।

তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতের অনেক ক্ষতি হয়েছে, ব্যাংকগুলোতে পুনরায় কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং ঢেলে সাজাতে হবে। ব্যাংকিং খাতের এ দুর্বলতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও দায়ী। সমস্যা ড্রয়ারের মধ্যে তালা দিয়ে রাখলে হবে না, তার জন্য প্রয়োজন সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি আরও বলেন, “দেশের অর্থনৈতিক খাতে যে অবস্থা এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকেরও দুর্বলতা রয়েছে। এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোন রিপোর্ট, অডিট রিপোর্ট ড্রয়ারে থাকার সুযোগ নেই। কোন ধরনের ডাটা ম্যানুফ্যালেশন হওয়ার সুযোগ নেই। ব্যাংকগুলোর আসল চিত্র পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি পত্রিকার রিপোর্টের সঙ্গে সমন্বয় তাদের আসল চিত্র বের করব।”

“অনেক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রকৃত চিত্রের চেয়ে অনেক বেশি। সেগুলো আর এখন গোপন রাখার সুযোগ নেই। একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের কাছে ৮ ব্যাংকের আধিপত্য ছিল। সেসব ব্যাংকের ঋণ অনিয়মে কারা দায়ী একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কী ভূমিকা ছিল সেসব বিষয়গুলোও আইডেন্টিফাই করা হবে”, যোগ করেন তিনি।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *