

বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং রোধ ও কমপ্লায়েন্স রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রিহ্যাবের সঙ্গে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিএফআইইউ ও রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশকে একটি কমপ্লায়েন্স রাষ্ট্রে পরিণত করতে সভায় দেশের মানিলন্ডারিং কিভাবে রোধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রিহ্যাব যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।
২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি জারিকৃত একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ সংশোধন করা হয়েছিল। অধ্যাদেশটি আইনে প্রণীত হয় ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর। সংশোধিত এ আইনের অধীনই বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গঠিত হয়। সংস্থাটি বিএফআইইউ নামে বেশি পরিচিত।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের মতো আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধ করতে অনুসন্ধান বা তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেত্রে বিএফআইইউর ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কাজগুলো বিএফআইইউর এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, তা হচ্ছে আর্থিক অপরাধসংক্রান্ত তথ্য ও প্রতিবেদন সংগ্রহ করা, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ ও বিনিময় করা এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন চিহ্নিত করা।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) অর্থ পাচার ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। তবে সংস্থাটি বড় কোনো শিল্পগ্রুপ বা কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেনি। ওইসব অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ব্যাংকগুলো সতর্কতা হিসাবে কিছু কোম্পানির ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে রেখেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে অর্থ পাচার ঠেকানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স’ অফিসারদের ডেকেছিলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএফআইইউ অর্থপাচার ঠেকাতে সবসময় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এখনও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্ম-পরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।