নভেম্বর ১৬, ২০২৪

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য ভারতের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসাথে সীমান্তে হত্যাকান্ড শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ার)   রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকের বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে  এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব।

ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারতের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোত্রা। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তিস্তা ইস্যু নিয়ে অনেক আগে থেকেই ভারতের ফেডারেল ও স্টেট সরকারের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। আমরা তিস্তার পানিবণ্টন ও কুশিয়ারা চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন জানান, আদানির বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে আলাদা করে আলাপ হয়নি। তবে বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন লাইন নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা নেপাল-ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে সহযোগিতা করবেন। তবে তারা বলেছেন, আমাদের ট্রান্সমিশন লাইনের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। আমরা এটা লাইন মিনিস্ট্রির সঙ্গে আলাপ করবো। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে শুল্ক বাধা দূর করতে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সেপা চুক্তি দ্রুত করতে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফের ভূমিকা  বাড়ানো নিয়েও আলাপ হয়েছে। তাহলে সীমান্ত হত্যাও কমে আসবে।

মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বিদ্যমান সম্পর্কে নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...