প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিপদ কাটার পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এরপরই সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সোমবার (২৭ মে) বেলা ১২টার দিকে টানেলের গেটগুলো খুলে দেয়া হয়।
এর আগে রোববার (২৬ মে) দুপুরে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেল সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেল বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী ব্যবস্থাপক (টোল অ্যান্ড ট্রাফিক) তানভীর রিফা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রোববার সন্ধ্যায় টানেলের ফ্লাডগেইটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সোমবার সকাল ৬টায় খোলার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আরও কয়েক ঘণ্টা বেশি সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল। সবগুলো গেইট খোলার পর বেলা ১২টার দিকে টানেল দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফ্লাড গেটগুলো খুলতে কিছুটা সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার (২৬ মে) রাত ৯টার দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গে টানা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে।
আরও পড়ুন: ১০ ফুট পানির নিচে সুন্দরবন, প্রাণীগুলোর কী হবে?
রোববার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘প্রবল শক্তি অব্যাহত রেখে উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মোংলা, খেপুপড়া ও পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে। পুরো জার্নি শেষ হতে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা লাগতে পারে।’
যেহেতু জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে, সেহেতু ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান ওই আবহাওয়াবিদ।