চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের আগামীকাল জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে তার কাছের মানুষ ও ভক্তরা শুরু করে দিয়েছেন সেলিব্রেশন পার্টি। যা দেখে আবেগে আপ্লুত অভিনেত্রী। কিন্তু অভিনেত্রীর কথায় দুঃখের সুর খুঁজে পাওয়া গেছে। জানালেন এই সারপ্রাইজ তার অনেক আনন্দের হলেও জন্মদিনের কেক কাটছেন না তিনি। এমন কি তার সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনেও কেক কাটবেন না তিনি।
আগামীকাল ১১ অক্টোবর অপু বিশ্বাসের জন্মদিন। দিনটিকে সামনে রেখে কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, ব্র্যান্ড প্রমোটার বারিশা হকসহ কাছের মানুষরা সেলিব্রেশন পার্টি করেন। এ সময় অপু বলেন, সারপ্রাইজ আমার জীবনে খুব কম আসে। আবার যেগুলো আসে সেগুলো খুশির নয়। তবে যেদিন থেকে আমি আমার কাছের মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছি ওই সময় থেকেই সুখকর সারপ্রাইজগুলো পাচ্ছি। আজ এমনই এক সুন্দর সারপ্রাইজ পেলাম।
এরপরই অপু বলেন, জন্মদিনের আগের দিন থেকেই যে সারপ্রাইজ পার্টি হতে পারে বিষয়টা আমার একদমই মাথায় ছিল না। হঠাৎ এমন সারপ্রাইজ পেয়ে আমি সত্যি ভাষাহীন!
এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে অপু বলেন, পরিবারে যখন আমার জন্মদিন উদযাপন করা হতো তখন বেশিরভাগ সময়ই জন্মদিনের কিছুদিন পরেই পূজা চলে আসতো। তাই পরিবার থেকে আলাদা করে কখনও জন্মদিনের সারপ্রাইজ পেতাম না। আবার কখনও সেটা পূজার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া হতো। তবে আমার ছেলে জয়ের জন্মের পর আমার যে প্রথম জন্মদিনের কেক আমি কেটেছি সেই দিনটা আমার কাছে বিশেষ স্মরণীয় একটা দিন।
অপু বিশ্বাস জানান, আমি আর কেক কাটতে চাই না। গতবছর আমার ছেলের জন্মদিন থেকে আমি মা হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর কখনও জয়ের বার্থডে কেক কাটবো না। আর আমিও কখনও আমার জন্মদিনের কেক কাটবো না।
সন্তান একজন মায়ের জন্য কি তা কোনো মা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। তার ব্যতিক্রম আমিও নই। জয়ের প্রথম বার্থ ডে থেকে পঞ্চম বার্থ ডে আমি খুব আনন্দ নিয়ে করেছি। ষষ্ঠ বার্থ ডে জয় তার পরিবারের সঙ্গে করেছে। ঐ সময় একটা বিষয়ের পর আমার মনে হলো জয়ের জন্মদিন আর ঘটা করে না করি। এরপর থেকে সিদ্ধান্ত নেই জন্মদিনে আর কখনও কেক কাটবো না।