

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, পুলিশকে আমরা সংগঠিত করে ফেলেছি। যারা যতো অপকর্ম করে ফেলেছে, তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। পুলিশ সংগঠিত হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সংগঠিত হলে এবং সবাই মিলে এই সমস্ত জিনিস আমরা প্রতিহত করতে পারব। সবাই মিলে দেশটাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাব। খুলনায় এসে অত্যন্ত ভালো লাগলো। এখানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার বিকেলে খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সেনাপ্রধান বলেন, আমি অনুরোধ করবো সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়, কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ না করে। আমি নিশ্চিত তারা বুঝবেন জনগণের এখন দাবিটা কী। সবাই যদি আমাদের সাহায্য করে তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত স্বাভাবিক পর্যায়ে আমরা নিয়ে আসতে সক্ষম হব। সেই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করছি। চলেন আমরা সেই উদ্দেশ্যে কাজ করি এবং দেশকে সুশৃঙ্খল শান্তির পথে নিয়ে যাই।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবরগুলোর ৮০ শতাংশ আতঙ্ক আর ২০ শতাংশ সত্য। মানুষের মধ্যে হানাহানির এই জিনিসটা আস্তে আস্তে কমে আসছে। অতীতেও যখন রাজনীতি ছিল, তখন কিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে, যেটা কাম্য না। আমরা সবাই মিলে এটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসব। রাজনীতি থাকবে, থাকতেই হবে। সেখানে মানুষ কথা বলবে, মিটিং হবে, মিছিল হবে। কিন্তু এটা যেন ধ্বংসাত্মক পর্যায়ে না যায়, ধ্বংসাত্মক কোনো কার্যকলাপ আমরা চাই না। এটা কখনোই দেশ, জাতির জন্য মঙ্গলজনক না।
এর আগে সেনাপ্রধান খুলনার বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, ডিআইজি, কেএমপি কমিশমানারসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।