সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও নাহিদ ইসলাম

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপদেষ্টারা। এসবের মধ্যে রয়েছে—অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে ব্যবসায়ীদের উজ্জীবিত করা, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকি উপদেষ্টারা ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বৈঠকে তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশ নেন।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সব মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাদের পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের উপদেষ্টা প্যানেলে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদের মনোনীত করেছি এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে আমরা দুজন উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছি। এর পাশাপাশি উপদেষ্টাদের সঙ্গে সহকারী হিসেবে ছাত্ররা কাজ করার সুযোগ পাবেন।

তাদের জন্য ‘সহকারী উপদেষ্টা’ পদ সৃষ্টি করে সরকারের সঙ্গে যুক্ত করার আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। এখনো রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ নেই, শিক্ষার্থীরা রাস্তা ম্যানেজমেন্ট করছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি না যে কালই (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলে দেবো। ‌শিক্ষকসমাজের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’

প্রথম বৈঠকে সব সেক্টরের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, সমাজের সবার সঙ্গে কথা বলা হবে। সবার সঙ্গে কথা বলে রিফর্ম এজেন্ডা ঠিক করে আলাপ-আলোচনায় যাওয়া হবে।

তিনি বলেন, বৈঠকে অর্থের বিষয়ে কথা হয়েছে। আর্থিক খাতগুলো শুধু চালু করলেই হবে না, সক্রিয় করতে হবে। যেগুলোতে নেতৃত্বের স্থানে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে, অনতিবিলম্বে সেসব পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের জীবন-জীবিকার কষ্ট লাঘব হবে। বাজারের ক্ষেত্রে যে নিয়ন্ত্রণ, অর্থের ক্ষেত্রে যে নিয়ন্ত্রণ, সেটাও অগ্রাধিকার পাবে অর্থ মন্ত্রণালয় যখন পরিকল্পনা করবে সেখানে।

এ সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে, বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়াদের বিষয়ে এখন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *