নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইসিটি হতে হবে অত্যাধুনিক। বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদেরও সবকিছু অটোমেটেড হতে হবে। আমাদের আইটি হতে হবে নাম্বার ওয়ান। আমি পূর্বেও ডিএসই’র আইসিটি কমিটিতে ছিলাম। আমাদের আইসিটি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নাম্বার ওয়ান হতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

২১ মার্চ ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও-এর নেতৃত্বে ডিবিএ’র পরিচালনা পর্ষদ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নব-নিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সাথে সৌজন্য বৈঠককালে এসব কথা বলেন৷

অধ্যাপক ড. হাফিজ বলেন, আমরা চাই বাজারের পরিবর্তন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় সম্মিলিতভাবে বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। আমার সহকর্মীবৃন্দ সকলেই সহযোগী মনোভাবাপন্ন। সকলেই তাদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। বর্তমান বোর্ড বিশ্বাস করে, আপনাদেরকে ছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই মার্কেটটা আসলে আপনাদেরই সৃষ্টি করা মার্কেট। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের প্রেক্ষাপটে আমরা হয়ত আজ এখানে এসেছি, কিন্তু এখানে আপনারাই প্রধান চালিকাশক্তি।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয়েই উন্নয়ন পরিকল্পনা করবো এবং এই প্রতিষ্ঠান, এই মার্কেট এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাবো। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। আমাদের নিজস্ব কোন এজেন্ডা নেই। আমরা এখানে আপনাদের সাথে সমন্বয় করে এই পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে নিয়ে যাবো। আমাদের দুইজন সদস্য এখনও বোর্ডে যুক্ত হয়নি। আমরা দ্রুত তাদের নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিবিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাজেদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ সাইফুদ্দিনসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ডিএসই’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নব-নিযুক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মোঃ শাকিল রিজভী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷

তিনি আরও বলেন, আপনারা একটি গতিশীল মার্কেট চান। তেমনি আমরা একটি শক্তিশালী বোর্ড চাই। কারণ শক্তিশালী বোর্ড একটি ভালো পরিবেশ তৈরি করতে পারে। আমরা প্রত্যেকেই সবসময় আপনাদের পাশে চাই। আপনাদের মাকে‍র্ট আপনাদেরই ভালো করতে হবে। আমরা আপনাদের কথা শুনবো। আমরা একে অপরের সহযোগী হিসেবে কাজ করবো। ডিএসই’র উন্নয়নে আপনারা পরিকল্পনা করুন। পুঁজিবাজারকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে পুঁজিবাজার সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা কখনো আমাদের সাথে কথা বলতে সংকোচবোধ করবেন না। আমরা সব সেক্টর নিয়ে কাজ করবো। ভালো ইনভেস্টমেন্ট আনতে হলে ভালো ইন্সটুমেন্ট আনতে হবে। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আজকে আমাদের এই বৈঠক মিলনমেলায় পরিণত হলো। আমাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলকে সততার সাথে সুন্দরভাবে এই পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে। আজকের শুরুটা এমনভাবে হোক যেন একে অপরের মাঝে বন্ধন তৈরি হয়। আমরা নতুন বোর্ড, বুঝার চেষ্টা করছি। আমরা আপনাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেব। এই বিষয়ে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...