প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগের অন্যতম একটি অঙ্গ মোবাইল। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এটি। তবে এরই মধ্যে মোবাইলের কিছু নেতিবাচক দিকের কথাও সামনে এসেছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, দিনে দেড় ঘণ্টা বা তার বেশি সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে ব্রেনের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়ে।
দশ বছর ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্ক কোষের অস্বাভাবিক রকমের বৃদ্ধি হতে পারে। যা থেকে পরবর্তীকালে গ্লাইওমা (সব থেকে পরিচিত ব্রেন টিউমার) ও ব্রেন ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই মোবাইল ব্যবহারের ফলে কি কি রোগ হতে পারে।
হার্টের সমস্যা:
মোবাইল থেকে বেরনো ক্ষতিকর রশ্মি হার্টের সমস্যা তৈরি করে। ফলে বুক পকেটে কখনও মোবাইল রাখবেন না। এবং হার্টের সমস্যা হচ্ছে বুঝলে অবহেলা করবেন না।
শ্রবণ দুর্বলতা:
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শ্রবণ শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাই। মোবাইলের তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে অন্তরঙ্গতা কানে শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
ক্যানসার:
গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল থেকে বেরনো রেডিওফ্রিকোয়েন্সির ফলে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। এর থেকে ক্যানসারও হতে পারে।
কেন রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে বুঝতে পারছেন? মোবাইল নিয়ে সারাদিন ঘাঁটতে থাকাই এর প্রধান কারণ। মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ঘাঁটা, বিশেষ করে রাতে শুয়ে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বাধে।
বন্ধ্যাত্ব:
মোবাইল রশ্মি বিকিরণের এটি অন্যতম ক্ষতিকর দিক। মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। ফলে সন্তানের জন্ম দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
এখন কার দিনে আমরা অনেকেই সারাদিন কম্পিউটার অথবা মোবাইলে কাজ করি। বেশিক্ষণ মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাঁকিয়ে থাকলে চোখের সমস্যা হতে বাধ্য। কমবয়সেই মোটা ফ্রেমের চশমা চোখে উঠতে পারে আপনার।
মোবাইল ব্যবহার করতে করতে কাজ করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। গাড়ি চালাতে চালাতে অথবা রাস্তা পার হতে গিয়ে কখনও মোবাইল ব্যবহার করা উচিত নয়।