নভেম্বর ১৪, ২০২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম এজাহারে থাকার পরও গ্রেপ্তার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ না করা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন গ্রহণ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এজাহারে নাম থাকার পরও গ্রেপ্তার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। তবে আদালতে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন হলে আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার না দেখানো পর্যন্ত জামিনের আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই। এসময় আদালত এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও মো. শফিউদ্দিন এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, জামিন আবেদন করা ৯ মামলায় মির্জা ফখরুল এজাহারনামীয় আসামি হলেও তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়নি রাষ্ট্রপক্ষ। মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানার সাত মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে।

সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় গত ২৯ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। সে মামলায় সিএমএম কোর্ট এবং দায়রা আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এরপর আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। আমরা আশঙ্কা করছি যে ওই মামলায় হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করলে রাষ্ট্রপক্ষ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করতে পারেন। যাতে আরও দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে রাখা যায়। তাই আমরাই জামিনের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত বলেছেন, এ পর্যায়ে শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...