নভেম্বর ১৫, ২০২৪

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ ৭টি ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বিষয়ে কোন রিপোর্ট জমা দেয়নি। যেগুলোর বিষয়ে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ০৯ মে বিএসইসির সহকারি পরিচালক মো. মতিউর রহমান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের কোয়ার্টারলি রিপোর্ট যাচাইয়ে ৭টি ব্রোকারেজ হাউজের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বিষয়ে কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এতে করে ব্রোকারেজ হাউজগুলো মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত ও রেগুলেটরি ক্যাপিটাল এর নির্দেশনা পরিপালন করছে কিনা জানা যায়নি। এই অবস্থায় ডিএসইকে চিঠি ইস্যুর ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হচ্ছে- এশিয়া সিকিউরিটিজ, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ, মীর সিকিউরিটিজ, আমার সিকিউরিটিজ ও সিএএল সিকিউরিটিজ।

এই ব্রোকারেজ হাউজগুলোর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের কোয়ার্টারলি হিসাবে ক্যাপিটাল ঘাটতি ছিল। এরমধ্যে ১২০ কোটি টাকার সর্বনিম্ন ক্যাপিটাল রাখার বাধ্যবাধকতা থাকা আরএকে ক্যাপিটালের ঘাটতি ছিল ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এছাড়া এশিয়া সিকিউরিটিজের ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা, হাবিবুর রহমান সিকিউরিটিজের ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজের ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, মীর সিকিউরিটিজের ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আমার সিকিউরিটিজের ৬৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও সিএএল সিকিউরিটিজের ১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ক্যাপিটাল ঘাটতি ছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...