সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্বপ্নের মেট্রোরেলের বিজ্ঞাপন নিয়ে। নেটিজেন থেকে শুরু করে মেট্রোতে চেপে বসা যাত্রী সবাই ক্ষোভ ঝাড়ছেন। ঝকঝকে কোচের ভেতরে গাদাগাদি করে বিজ্ঞাপনের পোস্টারের সৌন্দর্য নষ্ট করছে বলে জানান ব্যবহারকারীরা। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আয় বাড়াতে একটি কোচে পরীক্ষামূলকভাবে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে ৷ খুব শিগগিরই আসবে পরিবর্তন।
মেট্রোরেলের ভেতরে বিজ্ঞাপনী পোস্টার।
স্বপ্নের মেট্রোরেল যখন নগরীর কংক্রিট ভেদ করে প্রথম ছুটে চলেছে, তখনই আবেগ আর উচ্ছ্বাসে ভেসেছে সাধারণ মানুষ। সময়ের সঙ্গে পরিধি বেড়েছে, বেড়েছে যাত্রীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার পারদ।
তবে হঠাৎই স্বপ্নের বাহন মেট্রোরেলের কামরার ভেতর বেসরকারি একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ। দেয়ালে সাঁটানো রাজনৈতিক পোস্টারের আদলে মেট্রোর কোচের ভেতর দরজাসহ উপরে-নিচে নানা জায়গায় সেঁটে দেয়া হয়েছে এসব বিজ্ঞাপনী পোস্টার। ঝকঝকে নতুন কোচের দেয়ালে গাম-আঠা দিয়ে লাগানো এসব পোস্টারে চটেছেন যাত্রীরা।
কয়েক দিন ধরে নানা বিরূপ মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করছেন নেটিজেনরা। যার বেশির ভাগই কড়া সমালোচনায় ভরা। তাদের দাবি: এমন নকশায় বিজ্ঞাপন দেয়ায় নষ্ট করা হয়েছে মেট্রোর সৌন্দর্য।
ব্যবহারকারীরা বলছেন, আধুনিক বাহনে এমন বিজ্ঞাপন মেনে নেয়া যায় না। দ্রুত তা পরিবর্তন করতে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তারা।
যদিও বিজ্ঞাপন লাগানোর ঘটনায় সমালোচনার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএল। পরীক্ষামূলক বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির প্রধান বলছেন, দ্রুত পরিবর্তন আসবে এর নকশায়।
ডিএমটিসিএল-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক খোন্দকার এহতেশামুল কবীর জানান, আয় বাড়াতে অন্যান্য দেশের মতো ঢাকার মেট্রোরেলেও বিজ্ঞাপনের জন্য জায়গা ভাড়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিডিয়া কমের সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনী সংস্থাটি তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে মেট্রোরেলে।
ট্রেনজুড়ে লাগানো ফ্রিজ, টিভির বিজ্ঞাপনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সৌন্দর্য নষ্টের অভিযোগ তুলে যাত্রীরাও অসন্তোষ জানানোর পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনা চলছে। নকশায় পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান এহতেশামুল কবীর। সূত্র সময় টিভি।
যাত্রীদের কাছে প্রাপ্ত টিকিটের ভাড়া ছাড়াও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেট্রোর আয় বাড়াতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে।