২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক চুল্লির সংখ্যা বাড়বে ৫৬টি। এই পারমাণবিক চুল্লি বর্তমানে ১২টি দেশে নির্মাণাধীন রয়েছে বলে একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আনাদোলু এজেন্সির সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন চুল্লিগুলোর ইনস্টলেশন ক্ষমতা হবে মোট ৬২ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। খবর ইয়েনি সাফাক।
বর্তমানে ৩০টিরও বেশি দেশে মোট ৪৪০টি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে; যা বিশ্বের ১০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে।
চলতি বছর ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি চুল্লি বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এদিকে মিসর, চীন এবং রাশিয়ায় তিনটি চুল্লির নির্মাণ শুরু হয়েছে। যদিও বছরের শুরুতে রাশিয়ায় একটি চুল্লি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সি আরও জানিয়েছে, ১২টি চুল্লি স্থাপনের কাজ চলতি বছর শেষ হবে এবং ৮টি চুল্লি ২০২৫ সালে পরিষেবাতে রাখা হবে।
২০২৬ সালে মোট ১০টি চুল্লি চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তুরস্কের এ সংবাদ সংস্থা। আরও ১১টি চুল্লি ২০২৭ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।
বর্তমানে নির্মাণাধীন ৭টি চুল্লি ২০২৮ সালে বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এছাড়া তিনটি চুল্লির কাজ ২০২৯ সাল এবং পাঁচটি চুল্লির কাজ ২০৩০-এ সম্পন্ন হবে।
চীন এ পর্যন্ত মোট ২৭টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণ করছে। বর্তমানে দেশটি ৩০ হাজার ৯৪৩ মেগাওয়াটসহ নির্মাণাধীন চুল্লির ক্ষমতায় বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে।
সাতটি চুল্লি ব্যবহার করে নির্মাণাধীন ৫ হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের অনেক কম ক্ষমতা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তুরস্ক ও মিসরের রয়েছে ৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট।
রাশিয়া মোট ৪ হাজার ১০ মেগাওয়াট সক্ষমতার চারটি চুল্লি নির্মাণ করছে। যুক্তরাজ্যের রয়েছে মোট ৩ হাজার ৪৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতা সম্পন্ন দুটি চুল্লি।