দেশের পতাকার প্রতি সম্মান জানাতে ১১ মার্চ দিনটিকে বেছে নিয়েছে সৌদি আরব। রাষ্ট্রপ্রধান বাদশাহ সালমানের স্বাক্ষরিত নতুন ডিক্রি অনুসারে, এখন থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের ১১ তারিখ জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন করা হবে দেশটিতে।
বর্তমানে যে দেশটিকে আমরা সৌদি আরব বলে জানি, একসময় তার নাম ছিল হিজাজ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আগ পর্যন্ত হিজাজ ছিল মুসলিম খিলাফত বা তুরস্কের অটোমান রাজবংশের অধীনে। তবে অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হলেও দেশটির শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করত প্রভাবশালী বিভিন্ন বেদুইন গোত্র।
এসব গোত্রের অধিকাংশই ছিল ওয়াহাবিপন্থী। অটোমান শাসকদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই থাকত। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অটোমান ও ওয়াহাবীপন্থীদের মধ্যেও সংঘাত শুরু হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের ক্ষমতায় এসে খিলাফত বিলোপ করেন; কিন্তু আরব উপদ্বীপে তখনও চলছিল অটোমানপন্থী ও ওয়াহাবীপন্থীদের যুদ্ধ।
১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন হিজাজের রাজধানী রিয়াদ দখল করেন ওয়াহাবিপন্থী নেতা আবদুল আজিজ আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদ। তার নাম অনুসারেই হিজাজের নতুন নাম হয় সৌদি আরব এবং তিনি হন দেশটির প্রথম বাদশাহ। বর্তমানে ক্ষমতায় যে রাজবংশটি সৌদির ক্ষমতায় আসীন আছে, তারা সবাই আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আল সৌদের বংশধর।
সৌদির সরকারি সংবাদসংস্থা এসপিএ’র বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ১৯৩৩ সালের ১১ মার্চ বর্তমান জাতীয় পতাকার নকশার অনুমোদন দিয়েছিলেন আল সৌদ।
৯০ বছর আগে ঘটা এই ব্যাপারটিকে সম্মান জানিয়েই ১১ মার্চকে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান। এসপিএর প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আমাদের জাতীয় পতাকা একই সঙ্গে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে সৌদির উত্থান, শান্তি, ইসলামধর্ম এবং একটি আশীর্বাদপুষ্ট রাষ্ট্রের প্রতীক।’