নিম্ন আয়ের ১ কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিক্রির জন্য স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এসব মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০১.৯৪ টাকা। সে হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা টাকা।
সূত্র জানায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা টিসিবি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি হয়েছে। চলমান এনওএর পরিমাণ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ক্রয়ের পরিমাণ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এই ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার জন্য স্থানীয় দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়।
দরপত্রে ৫০ কেজির বস্তায় ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহের শর্ত দেওয়া হয়। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাপ্তরিক দাম ধরা হয় ১০৫.৩৩ টাকা। দরপত্রে অংশ নেওয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ১০১.৯৪ টাকা দর উল্লেখ করে। ঢাকার নাবিল নবা ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড প্রতি কেজি ১০২.৭৫ টাকা দরে ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং বগুড়ার রয় অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড প্রতি কেজি ১০৩.৮৯ টাকা দরে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় রয় অ্যাগ্রো ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের দরপত্র নন-রেসপন্সিভ ঘোষণা করা হয়। বাকি দুটি দরপত্র রেসপন্সিভ হয়। ওই দরপত্র দুটির মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ইজি জেনারেল ট্রেডিংয়ের দরপত্রে প্রস্তাবিত ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালের সঙ্গে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ১০১.৯৪ টাকা দরে অবশিষ্ট ৪ হাজার মেট্রিক টনসহ সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থাৎ ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহ করার জন্য সম্মতি চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি অবশিষ্ট পরিমাণ সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে। পিপআর ২০০৮ ও বিধি ৯৯(ই) অনুযায়ী পর্যাক্রমে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান নাবিল নবা ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতার দরে অর্থাৎ ১০১.৯৪ টাকা প্রতি কেজি দরে অবশিষ্ট পরিমাণ অর্থাৎ ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহ করার জন্য সম্মতি চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি সম্মতি প্রকাশ করে এবং লিখিতভাবে জানায়।
ক্রয়প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।