ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত মো: আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে যে তিনটি জিনিস দরকার তা হলো স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট সিটিজেন বা নাগরিক। এই তিনটা জিনিসের মাঝে নাগরিকরা যদি স্মার্ট না হয় তবে বাকিগুলোকেও স্মার্ট বানানো সম্ভব নয়৷ আর স্মার্ট নাগরিক গড়ে তুলতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নাগরিকদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ আয়োজিত “২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভূমিকা” শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের দেশের প্রাইভেট সেক্টর ইতিমধ্যেই অনেকটা স্মার্ট। আর প্রাইভেট সেক্টরের পাশাপাশি আমাদের গভর্নমেন্ট সেক্টরও দিন দিন আধুনিকায়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো স্কিল ডেভেলপমেন্ট। স্কিল ডেভেলপমেন্ট ছাড়া স্মার্ট দেশ গঠন সম্ভব নয়।

সিবিএফের এই বিশেষ দূত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বর মাসে প্রথম স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। এরপর থেকেই সবার মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবেই বাংলাদেশ একদিন স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন কাউকে ঘুমাতে দেবে না। ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১ আর ২০৭১ এর পথের যে যাত্রা তা অব্যাহত থাকবে। পথে করোনা, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোনসহ বিভিন্ন রকমের বাঁধা আসবে, বহুবার হোঁচট খেতে হবে কিন্তু এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির বলেন, ৪টা জিনিসের উপরে স্মার্ট বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে থাকবে তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ স্মার্ট জনগণ৷ স্মার্ট জনগণ তৈরি করতে হলে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করছে কিনা।

আইসিএবির কাউন্সিল সদস্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আইসিএবির ৫০তম বার্ষিকী উৎযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির এফসিএ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিএবি সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান এফসিএ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এমবিএম লুৎফুল হাদী এফসিএ এবং আইসিএবি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু ।

এছাড়াও প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এফসিএমএ, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইসিএমএবি; বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডের পরিচালক একেএম আফতাবুল ইসলাম এফসিএ; হাবিবুল্লাহ এন করিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট, এমসিসিআই এবং প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনোহেভেন; এবং সামিরা জুবেরি হিমিকা, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বেসিস।

অনুষ্ঠানে কি নোট উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপ-সচিব, প্রকল্প বিশ্লেষক অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট প্রোগ্রাম আইসিটি বিভাগ ও ইউএনডিপি; ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড ১), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ; আহমেদ রায়হান শামসি এফসিএ, চেয়ারম্যান ও সিইও, দেবো টেক টেকনোলজি পার্ক লিমিটেড।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি ৫০ বছরে পা দিয়েছে আইসিএবি। সিএ পেশাজীবীদের এই প্রতিষ্ঠানটির গৌরবময় পথ চলার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...