ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ছুড়ে ফেলে আগুনে পুড়িয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ শিরোনামে একটি সভায় এমনটা করতে দেখা গেছে তাকে। সঙ্গে ছিলেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও।
এ সময় মানববন্ধনে রিজভী তার স্ত্রীর একটি ভারতীয় শাড়ি মাটিতে ছুড়ে রিজভী বলেন, “এই শাড়ি আমি আপনাদের সামনে ছুড়ে ফেললাম।” এরপর উপস্থিত নেতা-কর্মীদের তিনি শাড়িটিতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন নেতা-কর্মীরা শাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সভায় রিজভী বলেন, “ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তবুও মাথা নত করব না।”
যে শেখ হাসিনা গুম, খুন করেছে, ছাত্রদের রক্তে রাজপথ ভাসিয়েছে তাকে ভারত পছন্দ করে, কিন্তু বাংলাদেশকে পছন্দ করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, “স্বাধীনতা চায় এমন ভারতীয় অনেক জাতিকে দেশটির সরকার পদানত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সেটা করতে আসবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত যা বলবে তাই শুনবে- এমনটা শেখ হাসিনার মত দু-একজন থাকতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালি এর বিপক্ষে।”