

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর চলতি সপ্তাহেও শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা ০.১৫ শতাংশ।
গত ১৮ জানুয়ারি বেশিরভাগ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তবে ৩৫ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখা হয়েছিল। ২২ জানুয়ারি সেখান থেকে ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে ডিএসইর সব কটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৭.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৯৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৮০.৩৫ পয়েন্ট বা ২.৮৫ শতাংশ।
ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১০.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ৩৬.০১ পয়েন্ট বা ২.৫৯ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২.১৭ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৫.১০ পয়েন্ট বা ০.৭১ শতাংশ। তবে সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পরও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৮৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ২৬৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ৫.৫১ শতাংশ। এছাড়া প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫.৫১ শতাংশ বা ৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৯৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ৪০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮২টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম। এছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশন, ফু-ওয়াং ফুডস, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, ইভিন্স টেক্সটাইল, কর্নফুলি ইন্সুরেন্স, আফতাব অটোমোবাইলস, মালেক স্পিনিং মিলস, খান ব্রাদার্স ও অলিম্পিক এক্সেসরিস ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়। অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স সূচক সমান ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৬২৬.১২ পয়েন্টে ও ১০ হাজার ৫৫৫.২৩ পয়েন্টে।
সপ্তাহশেষে সিএসআই সূচক ১.০৭ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ০.৬৪ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ০.৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৪২.৬৪ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৭৭.৪৭ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৫৯.৬৮ পয়েন্টে। গেল সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা, আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯২ কোটি ৯৯ লাখ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৬২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।