মার্চ ২৯, ২০২৪

তুরস্কে থাকা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী তাদের নিজেদের এলাকায় ফিরে গেছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তিনি বলেছেন, ১০ লাখ শরণার্থীর পুনর্বাসনের জন্য উত্তর সিরিয়ায় কয়েক হাজার বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।

এনটিভি চ্যানেলে শুক্রবার সরাসরি সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে কাভুসোগলু বলেন, ‘আমরা যে অঞ্চলগুলো সন্ত্রাসমুক্ত করেছি সেখানে ৫ লাখ ৫৩ হাজার অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছি’।

কাভুসোগলু বলেন, ‘সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সন্ত্রাসবাদের অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ানদের ফেরত পাঠাতে আমরা বদ্ধপরিকর’।

তিনি বলেন, ‘উত্তর সিরিয়ায় ২ লাখ ৪০ হাজার ঘর নির্মাণ করা হবে। সেখানে ১০ লাখ শরণার্থীর বসতি স্থাপন করা হবে। আমরা সিরিয়ানদের শুধু নিরাপদ স্থানেই নয়, আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়ও পাঠাতে চাই’।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, কাতারের সহায়তায় সিরিয়ায় ঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘরে দশ লাখ শরণার্থী থাকতে পারবে।

উত্তর সিরিয়ার সীমানত এলাকায় ২০১৬ সাল থেকে চারটি সফল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে তুরস্ক। এগুলো হলো- ইউফ্রেটিস শিল্ড (২০১৬), অলিভ ব্রাঞ্চ (২০১৮), পিস স্প্রিং (২০১৯) এবং স্প্রিং শিল্ড (২০২০)। এ অভিযানগুলোর কারণে তুরস্ক থেকে সিরিয়ান শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরার গতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাবে, সিরিয়া গৃহযুদ্ধে কয়েক লাখ মানুষ নিহত এবং ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

৩৭ লাখেরও বেশি সিরিয়ান বর্তমানে তুরস্কে বসবাস করছে। এতে তুরস্ক বিশ্বের শীর্ষ শরণার্থী-হোস্টিং দেশে পরিণত হয়েছে। মূলত ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিপীড়ন ও বর্বরতা থেকে পালিয়ে আসা সিরিয়ানদের জন্য মানবিক নীতি গ্রহণ করে তুরস্ক।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *