সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

একটি কোম্পানির একাধিক পণ্য ও সেই পন্য তৈরির জন্য একাধিক কারখানা থাকাতে পারে। কিন্তু কোন পণ্যের কোন কারখানার জন্য ঋণ নেওয়া হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করছে না অনেক ব্যাংক। এখন থেকে সবকিছু ঠিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কছে রিপোর্ট করার নিদেশ দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশে কার্যরত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পৃথক পৃথক স্থানে একই বা ভিন্ন খাতের পণ্যের জন্য একাধিক ঠিকানায় স্থাপিত একটি কোম্পানির বিভিন্ন ইউনিটের নামে ঋণ মঞ্জুর করেছে। সিআইবি রিপোর্টিং এ স্বচ্ছতা আনার জন্য ঋণসমূহকে রিপোর্টিং এর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়াদি অনুসরণের জন্য আপনাদেরকে নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে- যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) তে নিবন্ধিত একটি কোম্পানি একই বা ভিন্ন খাতের পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য একাধিক ঠিকানায় ইউনিট বা কারখানা স্থাপন করলে সেই ইউনিট/কারখানাগুলোকে আরজেএসসিকর্তৃক যে নামে নিবন্ধনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে হুবুহু সেই নামেই সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।

এতে উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা হয়, ‘ক লিমিটেড’ নামক একটি কোম্পানি আরজেএসসিতে নিবন্ধিত। এই কোম্পানি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের জন্য ইউনিট/কারখানা স্থাপন করলে যেমন ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-১)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-২)’, ‘ক লিমিটেড (ইউনিট-৩)’, ‘ক লিমিটেড (গার্মেন্টস ইউনিট)’ ইত্যাদি নামীয় ইউনিটগুলোকে ‘ক লিমিটেড’ কোম্পানির আওতাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে গণ্য করে তদানুযায়ী সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘এক্স ইউনিট ২ লিমিটেড’ এবং ‘এক্স লিমিটেড ইউনিট ২’ দুইটি ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবে আরজেএসসি তে নিবন্ধিত হলে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি হিসেবেই সিআইবি ডাটাবেইজে রিপোর্ট করতে হবে।

সিআইবি এর পূর্ণরূপ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো। সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত একটি নীতিমালা, যার মাধ্যমে কোনো গ্রাহকের ঋণ গ্রহণের সময় ঐ গ্রাহক পূর্বে কোনো ঋণ নিয়েছিল কি না তা দেখা হয়। ঋণ নিয়ে থাকলে সময়মতো ঋণের কিস্তি বা পুরো ঋণ পরিশোধ করেছে বা করছে কি না তাও দেখা হয়। যাতে ঋণখেলাপী না হয় এবং ঋণের প্রবাহ যথাযথ থাকে। এতে দেশে খেলাপী ঋণের পরিমাণ হ্রাস পায়। কোনো গ্রাহক নতুন কোনো ঋণ নিতে চাইলে ঋণের আবেদনের তথ্যাবলি সিআইবি-এর ওয়েবসাইটে ঢুকে পূরণ করলে গ্রাহকের অতীত ইতিহাস পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও সার্কুলারে বলা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *