নভেম্বর ১৩, ২০২৪

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মোট ছয় সংসদ সদস্য ও তাদের পরিবারের বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে সব ধরনের লেনদেন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেন।

বিও হিসাব অবরুদ্ধ হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, তার মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খান; সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, তার সহধর্মিনী নুরুন ফাতেমা হাসান, তার মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ; সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা; সাবেক সংসদ সদস্য ও পিরোজপুর জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম, তার ছেলে সাম্মাম জুনায়েদ ইফতি।

এছাড়া সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, তার বোন রোকসান জামান চৌধুরী, তার ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী, তার মেয়ে জেবা জামান চৌধুরী, সাইফুজ্জামানের আত্মীয় জারা জামান; সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তার স্ত্রী শারমিন মোস্তারির বিও হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।

এর আগে আলোচ্য ব্যক্তিদের নামে অর্থপাচার এবং এর সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ফলে পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগ আছে, থাকতে পারে বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন বা আছেন এ মর্মে তাদের বিও হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের নামে শেয়ারবাজারে যত বিও হিসাব রয়েছে, সেগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবে। এসব হিসাব যত দিন অবরুদ্ধ থাকবে, তত দিন এগুলোতে শুধু অর্থ জমা করা যাবে, কিন্তু কোনো অর্থ তোলা যাবে না। অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় এসব বিও হিসাবে কোনো শেয়ার লেনদেন করা যাবে না। শেয়ার ও বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে উল্লেখিত ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। ভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা এসব নির্দেশনায় বলা হয়, স্থগিত করা সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি এসব ব্যক্তি ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লকার-সুবিধা থাকলে সেটির ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...