বিভিন্ন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও ক্রিকেটার নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মুনসুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমিশন সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে আরিচা নৌ-টার্মিনালের নিকটবর্তী বিআইডব্লিউটিএর জমি দখলপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুর্জয় আত্বীয়-স্বজনের নামে সিন্ডিকেট তৈরিপূর্বক নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। বৈকন্ঠপুর, ঘিওর, মানিকগঞ্জে ১২ বিঘা জমি, মানিকগঞ্জ শহরে ১ তলা বাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগসহ তাঁর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ এবং তাঁর মালিকানায় তিন কোটি টাকা মূল্যের একাধিক গাড়ি রয়েছে। এ ছাড়াও তাঁর দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদকে গোয়েন্দা দল।
রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর নির্বাচিত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি নিয়োগে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নিজ নামে রাজশাহী, ঢাকা ও গাজীপুরে কৃষি ও অকৃষিজমিসহ তাদের পরিবারের নামে মোট সাড়ে ২৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
অন্যদিকে তমাল মুনসুরের বিরুদ্ধে ছাত্র হয়েও বাবার ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ১৭৫ কোটি টাকার সরকারী ক্রয়ে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে রিয়েল এস্টেট বিজনেস, আমেরিকার নিউইয়র্কের জ্যামাইকাতে অবস্থিত আফতাব স্কাই ভিউ কনডোমোনিয়াম: টাওয়ারে ১২টি এ্যাপর্টমেন্ট ও ৪টি পার্কিং স্পেস ক্রয় ও বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।