নভেম্বর ২৩, ২০২৪

বিএনপির অপরাজনীতি ও ধ্বংসাত্মক কাজের কারণেই তাদের জোট থেকে অনেকেই বেরিয়ে আসছে। কাউকে চাপ সৃষ্টি করে বের করে আনা হয়নি। নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কারও ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না। সরকার চাপ সৃষ্টি করলে আরও অনেকেই বেরিয়ে আসতো বলে দাবী করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে আজকে দেখলাম আরেকটা জোট করে নির্বাচনে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আরও অনেক বিএনপির সাবেক নেতাকে আমরা দেখছি, বিভিন্ন দলে তারা আসছেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে, চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচনে আনা হচ্ছে কিনা, নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছেন?’- এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসতো। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না।’

বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীমের বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বের হয়ে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠন করে। এ জোট ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। এতে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাপ ছিলো কি না- একজন সাংবাদিককের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কারও ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না।’

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের সহযোগী কেউ হতে চায় না। এটা এখন অনেকেই বুঝতে পারছেন। ফলে তারাই বেরিয়ে আসছেন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির এ অপরাধনীতির সাথে তারা দ্বিমত পোষণ করছেন। তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চান না বিধায় বা এই জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে বলে আমি মনে করি।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি কি জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য যে গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি আবার লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপি নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছে সেখানে।’

এটি কি কোন রাজনৈতিক দলের কাজ-এমন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোতো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এরকম কাজ করে না। তাদেরকে রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে এবং তাদের সাথে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর। এই অপরাধনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...