নভেম্বর ১৫, ২০২৪

নতুন সরকারের প্রথম একনেক বৈঠকে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৯০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ২৫৪ কোটি টাকা জোগান দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সচিব কাউসার আহম্মদ এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রথম সংশোধিত প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগ তুলে নিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে ডলারের দাম বাড়ায় এটির ব্যয় সংশোধন করতে হবে। এটি ইচ্ছে করলেই একনেকে অনুমোদন দেওয়া যেতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত), পিডিএফ’র কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিনিন্সটারমিং প্রজেক্ট, ইন্ট্রিগেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ এ্যাডাপশন ইনটু সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ প্রকল্প, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং (দ্বিতীয় পর্যায়), দুদকের খুলনা-রংপুর-রাজশাহী-বরিশাল-সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ এবং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (চতুর্থ সংশোধীত) প্রকল্প।

এ ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। সেটি হচ্ছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) প্রকল্প। এটিও অনুমোদন পেয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...