ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫

পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী হয়ে ওঠা মুহাম্মদ আজিজ খানের সামিট গ্র“পসহ সরকারের তালিকাভুক্ত ৭৬১৮টি কোম্পানি কখনোই তাদের প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ জমা দেয়নি শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের তহবিলে।

শ্রমিকদের কল্যাণে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনে লভ্যাংশের ০.৫ ভাগ অর্থ জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। আর সে কারণেই আগামীতে সামিট গ্র“পসহ ৭৬১৮টি কোম্পানিকে সরকারি কোন প্রকার সহযোগিতা ও টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।

পতিত সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন ফারুক খান। ছিলেন একাধিকবারের মন্ত্রীও। তারই আপন ভাই মুহাম্মদ আজিজ খান। যিনি স্বৈরাচারি সরকারের ১৫ বছরের বিদ্যুৎ খাতের লুটপাটকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আলোচিত সামিট গ্র“পের মালিক। যিনি বাংলাদেশ থেকে পাচারের টাকায় হয়েছেন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী। ফুটবলের রাজা আবার কখনো ম্যাসি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তাকে। ক্ষমতার একদম শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান করা আজিজ খানের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও টেলিকম ব্যবসায় আধিপত্য ছিলো একচ্ছত্র। অবৈধ পথে অর্জিত হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে তিনি সিঙ্গাপুরে গড়ে তুলেছেন সাম্রাজ্য, নিয়েছেন নাগরিকত্বও।

বুধবার সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গ্রামীন টেলিকমের লভ্যাংশের ৩৮,৩৯,৪৯,৭৭০ টাকার চেক গ্রহণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন জানান, আলোচিত সামিট গ্র“পসহ সরকারের তালিকাভুক্ত ৭৬১৮টি কোম্পানি কখনোই তাদের প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ জমা দেয়নি শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের তহবিলে।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে এ পর্যন্ত লভ্যাংশ জমা দেওয়া কোম্পানীর সংখ্যা ৪৯৯টি বলে জানা উপদেষ্টা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...