দেশে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি শূন্য আছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তিন বলেন, দেশে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি শূন্য আছে । বর্তমানে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৫১টি। আমরা পর্যায়ক্রমে শূন্যপদগুলো পূরণে কাজ করছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপ-সচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন। সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৬৫৮ জন। এছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত হয়েছেন। একজন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন নারী।
তিনি আরো বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এক থেকে ৯ গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে, এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা সুশৃঙ্খলা চলে এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হয় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপ রয়েছে সেই স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতের বিষয়তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে কিছু সংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। তো সেটি বাদেই আমাদের কিন্তু করতে হয়। আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।