বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বাংলাদেশের পাটখাতকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কফিল উদ্দিন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, আকিজ জুট মিলস লি. চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিনসহ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা, ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা, বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিক ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরও জোড়দার করবেন। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
বিজেএসএ প্রতিনিধিরা জানান, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদন সন্তোষজনক। পাট চাষিরা পাটের ভালো দাম পাবেন। কোনো কারণে যেনো কাঁচাপাটের দাম অসহনীয় না হয় সেজন্য সর্বদা কাঁচাপাটের বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান পাটমন্ত্রী।