নভেম্বর ১৬, ২০২৪

বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তার কর্মকান্ড খতিয়ে দেখতে তৎপর , থেমে নেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে সরকারি সংস্থাগুলোর নিকট তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে পুঁজিবাজারে লাগামহীন কারসাজি , পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সড়িয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ,  সরকারি চাকুরীর আইন কে বৃদ্ধাগুলি দেখানো।

দেশটির পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায় অর্থদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা তাদের নেই, অভিযুক্তকে বিভিন্ন শেয়ার কারসাজির অভিযোগে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। সুতরাং যারা অভিযোগ করছে আবুল খায়েরকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে মূলত তারা না জেনে মন্তব্য করছেন।

সাংবাদিক মহলেরও অভিযোগ তাকে বিভিন্ন সময় কারসাজি বিষয়ে প্রশ্ন করলে উল্টো আক্রমণাত্মক ও অপমানমূলক মন্তব্য করতেন। তার বিরুদ্ধে লিখে কিছুই হবে না , তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেও নেই এমন আজগুবি মন্তব্যও সাংবাদিকদের নিকট বিভিন্ন সময় তিনি করেছেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ছাড়াও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে বলেন – যেহেতু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সরকারি একটি দপ্তর , পুঁজিবাজার তাদেরই নিয়ন্ত্রাধীন। আমরা বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুনামধর্মী একটি সিকিউরিটিস হাউজের কর্মকর্তা আমাদের জানান , “বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এমনিতেই সংকটে রয়েছে। যার বিষয়ে আপনারা জানতে চাচ্ছেন তাকে সহ তার সহযোগীদের বড় অংকের জরিমানা করা হয়েছে। এমন কিছু করা যাবে না যেন অন্যরা এই বাজারে বিনিয়োগ করতেই ভয় পাবে। তাছাড়া সে ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগ করলেও তার আশেপাশে পরিচিত অনেকের মোটা অংকের বিনিয়োগ নষ্ট করেছে। হিরো নিজে যতটুকো লাভ করেছে তার থেকে তারই পরিচিতদের ক্ষতিই বেশি করেছে। কিছুদিন আগে তিনি বড় অংকের লস নিয়ে অনেক সেল করেছেন , ফ্লোর উঠলে কম দামে কিনবেন এমন মন্তব্য বিভিন্ন জায়গায় করছেন”।

স্বয়ং নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এই ব্যক্তির কর্মকান্ডে বিব্রত , করোনা সংকটে পুঁজিবাজারের গতি ফেরাতে অনেকেই তাকে সাধুবাদ দিলেও পরবর্তীতে তার অবিবেচক, অতি লোভী কর্মকান্ডে অনেকেই বিব্রত।

হঠাৎ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকার সকলকে সাথে নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছেন।বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নানা সংকট কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বন্ধু দেশ ভারত বাংলাদেশের সংকটে এড়িয়ে যায়নি। যখনই সংকট দেখা দিয়েছে বন্ধুত্বের সন্মান দেখিয়েছে ভারত। আগামী বিশ্ব অর্থনৈতিক নেতৃত্বে এগিয়ে থাকবে ভারত তা এখন বাস্তবার খুব কাছাকাছি। আমরাও বিশ্বাস করি ভারতের অগ্রযাত্রায় অংশীদার থাকবে বাংলাদেশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...