আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, শ্রম আইন সংশোধন বিল আগামী অধিবেশনে পাস হবে। আইন মন্ত্রণালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি আজ বুধবার এ কথা জানান।
বৈঠকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) হাফিজ আহমেদ চৌধুরী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বোর্ডের মিটিং আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। দেশে শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে যেসব অগ্রগতি হয়েছে এবং শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যেসব কাজ করা হয়েছে তা পর্যালোচনার জন্য আজকে একটি মিটিং ছিল। আজকের মিটিংয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করবো।
এরপরই এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারবো না।
সংশোধিত শ্রম আইন আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে এবং পাস হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়েও আজকে আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি খুব শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করবো।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশে করার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, শ্রমিক এবং এমপ্লয়াররা যেটা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য সেটাই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।
শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে একটি দুর্ঘটনার পর সরকার শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে যে মনোযোগ দিয়েছে এরকম অন্য কোনো দেশে নজির দেখানো খুব কঠিন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১১ বছরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশের জায়গায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং উন্নত হয়েছে। বিদেশিরা এ বিষয়ে কথা বলছেন। আমার মনে হয় তাদের আরও এ ব্যাপারে জানা উচিত। প্রথমে ২০০৩-২০০৪-২০০৫ সালে কি অবস্থা ছিল, সেটার চিত্র দেখে ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কি উন্নতি হয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করেই তাদের কথা বলা উচিত বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।