নভেম্বর ১৫, ২০২৪

শেরপুর জেলায় ৩২ হাজার টন মাছের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ হাজার টন। রেকর্ড পরিমাণ মৎস্য চাষের মাধ্যমে শেরপুরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবেও সাবলম্বি হচ্ছে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় মোট ৩৪ হাজার পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৮৫টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর ৩৩ হাজার ৯৪টি। জেলায় মাছের চাহিদা ৩২ হাজার টন হলেও এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ হাজার টন। জেলার ৫টি উপজেলায় ২৬টি মৎস্য আড়ৎ রয়েছে। এসব আড়তে প্রতিদিন গ্রাম-গঞ্জ থেকে ছোট ছোট পিকআপ ভ্যানে করে মাছ আসে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতিদিন আড়ৎগুলোতে প্রায় কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর সদরের সবচেয়ে বড় মৎস্য আড়ৎ লছমনপুর ইউনিয়নে মৎস্য সংরক্ষণের জন্য গড়ে উঠেছে প্রায় ১০টি বরফকল। এতে ওই আড়তে প্রায় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই বৃহৎ মৎস্য আড়তের পাইকারদের হাকডাকে সরগরম হয়ে উঠে শীতের প্রতিটি সকাল। মাছ ক্রয় করে বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম- গঞ্জে ছোট ছোট যানবাহনের করে চলে যান পাইকাররা। আড়ৎগুলো থেকে ভাড়ায় চালিত ছোট ছোট যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে শতাধিক শ্রমিক।

মৎস্য ব্যবসায়ী লালচাঁন মিয়া বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে লছমনপুর আড়ৎ থেকে মাছ ক্রয় করে শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। এতে আমি যে পরিমাণ আয় করি তা দিয়ে সংসার খরচের পরও কিছু টাকা সঞ্চয় হচ্ছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে লছমনপুর মৎস্য আড়ৎটি। এটাকে স্বাস্থ্য সম্মত করার পরিকল্পনা করছে উপজেরা প্রশাসন। তিনি আরও জানান, জেলায় যেভাবে হ্যাচারীসহ নদী খননের কাজ চলছে, তাতে আগামীতে মাছ রপ্তানি করেই জেলার অর্থনৈতির ভীত শক্তিশালি করা যাবে। খবর বাসস।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, জেলায় মানুষের যে পরিমাণ আমিষের চাহিদা রয়েছে তা মৎস্য খাত থেকে পূরণ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করে অর্থনৈতিক ভাবেও সাবলম্বি হচ্ছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...