

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সকল মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের লাল পাসপোর্ট (কূটনৈতিক পাসপোর্ট) বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কূটনৈতিক পাসপোর্ট রিভোক (বাতিল) ও সমর্পণের ভিত্তিতে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল ও সমর্পণের ভিত্তিতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে জারিকৃত নির্দেশনা নিম্নরূপ:
(ক) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সকল সদস্যসহ যেসব ব্যক্তিবর্গ কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকার কারণে কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ায় কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন, উক্ত পদে তাদের নিয়োগ বা কর্মকালের অবসান ঘটলে তাদের এবং তাদের স্পাউসদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
(খ) উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দুটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের অনুকূলে সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা যেতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল করা হয়। কোনো কোনো কর্মকর্তাকে পাঠানো হয় বাধ্যতামূলক অবসরে।