জুলাই ২৭, ২০২৪

দলীয় ২৬ রানে নেই জোড়া উইকেট। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান দুজনই ফিরেছেন হতাশ করে। তবে, ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত সেটা করেননি। উইকেট আগলে রেখে তুলে নিয়েছেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। অধিনায়কের শতকে চড়ে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দিনের তৃতীয় সেশনে এসে শতকের দেখা পেয়ে যান শান্ত। তার শতকে চড়ে তিন উইকেটে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশের লিড ২০৪ রানের। উইকেটে অপরাজিত থাকা শান্তর নামের পাশে ১০৪ রান। তার সঙ্গে ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই ভুলের মাশুল দিলেন দ্বিতীয় ইনিংসে। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তিন অঙ্ক ছুঁতে শান্ত খেলেন ১৯২ বল। হাঁকান ৯টি বাউন্ডারি। অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার শান্ত।

যদিও আজ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম উইকেট হারায় ২৩ রানে। ওপেনার জাকির হাসানকে লেগ বিফোর করেন আজাজ প্যাটেল। ২৬ রানের সময় টিম সাউদির ডেলিভারিতে স্ট্রেইট শট খেলেন শান্ত। নিচু হয়ে সাউদি বল আটকাতে চেয়েছিলেন। হাতে আটকেনি সেটি। তবে, শাপেবর হলো কিউইদের জন্য। বল মিস করে আঘাত হানল নন-স্ট্রাইকিং স্ট্যাম্পে। ডেলিভারির সময় ক্রিজ ছেড়ে বের হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। পেছন ফিরে দাগে ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ভাঙে স্ট্যাম্প। অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন জয়।

সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হক। ৯০ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান তারা। ৪০ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন মমিনুল। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শেষ সেশনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন শান্ত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় রানের লিড।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) আট উইকেটে ২৬৬ রান তোলে কিউইরা। বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। আজ তৃতীয় দিনে কিউইদের হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন কাইল জেমিসন ও টিম সাউদি। নবম উইকেট জুটিতে দুজনের করা ৫২ রান লিড এনে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।

তবে, লিড পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি কিউইরা। পাঁচ বলের ব্যবধানে পার্টটাইম বোলার মমিনুল হকের জোড়া শিকারে অলআউট হয় দলটি। ১০১.৪ ওভারে ৩১৭ রান করে তারা। ম্যাচে তাদের লিড মাত্র সাত রানের।

১০২তম ওভারের প্রথম বলে জেমিসনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল। ২৩ রান করে আউট হন জেমিসন। একই ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে ফেরান অধিনায়ক সাউদিকে। ৩৫ রান করা সাউদিকে বোল্ড করে কিউইদের লিড বাড়তে দেননি মমিনুল। থামিয়ে দেন ৩১৭ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ : ৮৫.১ ওভারে ৩১০/১০

প্রথম ইনিংস নিউজিল্যান্ড : ১০১.৫ ওভারে ৩১৭/১০। (লাথাম ২১, কনওয়ে ১২, উইলিয়ামসন ১০৪, নিকোলস ১৯, মিচেল ৪১, ব্লান্ডেল ৬, ফিলিপস ৪২, জেমিসন ২৩ সোধি ০, সাউদি ৩৫, প্যাটেল ১*; শরিফুল ১৩-২-৫৪-১, মিরাজ ২২-৩-৬৪-১, তাইজুল ৩৯-৯-১০৯-৪, নাঈম ২৪-৩-৭৩-১, মমিনুল ৩.৫-১-৪-৩)

দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশ : ৬৮ ওভারে ২১২/৩। (জয় ৮, জাকির ১৭, মমিনুল ৪০, শান্ত ১০৪ *, মুশফিক ৪৩*; সাউদি ১২-৩-২২-০, জেমিসন ৯-৩-১৯-০, প্যাটেল ২৩-১-৯৪-১, ফিলিপস ১২-৪-৩৬-০, সোধি ১২-১-৪১-০)।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *