ছাত্র-জনতার এক রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। গত ১৬ জুলাই থেকে রাজপথে অনেক ছাত্র-জনতা অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। গুলিতে কারও খুলি উড়ে গেছে, কারও বুক এফোঁড়-ওফোঁড় হয়েছে। হতাহতদের স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়েছে হাসপাতাল। আত্মত্যাগের এই গল্পগুলো তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
গতকাল মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে দেশের সব সংবাদপত্রকে উদ্দেশ করে ফারুকী লিখেছেন, ’হ্যালো বাংলাদেশী বাংলা এবং ইংরেজী পত্রিকা। এই যে শত শত শহীদ, শত শত গুম, মানুষের কান্না- এগুলো আপনাদের পাতায় তুলে ধরেন। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলনে তাদের আত্মত্যাগই আজকে আমাকে এবং আপনাদের কথা বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।’
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাকস্বাধীনতা পেয়েছে গণমাধ্যম, তাদের গল্প ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ঋণ স্বীকারের আকুতি এই চিত্র পরিচালকের, ‘(আন্দোলনকারীদের) সেই ঋণ শোধ হবে না কোনোভাবেই, কিন্তু তাদের গল্পগুলা তুলে ধরার মাধ্যমে, তাদের হাহাকার লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে আমরা এই ঋণ স্বীকার করতে পারি।’
আন্দোলনে যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন, দলমত নির্বিশেষে তাদের গল্প তুলে ধরার আরজি ফারুকীর, ‘নির্যাতিত সেই মানুষগুলো কোন দলের সেটা বিবেচনায় না নিয়েই এই কাজটা করেন!’