ওজন কমাতে অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই লবণ পানি পান করেন। এই লবণ পানি অনেক সময় শরীরের টিস্যুতে অতিরিক্ত তরল জমা হয়। যে কারণে শরীরে ফোলাভাব সৃষ্টি করে এবং ওজন কমে যাওয়ার পরিবর্তে বেড়ে যায়।
এছাড়া লবণ পানি শরীরে আরও অনেক ক্ষতি করে। যে কারণে সোডিয়াম গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেশি লবণ পানি খেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
দিল্লিভিত্তিক জনপ্রিয় ডায়েটিশিয়ান এবং ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট কাজল আগরওয়াল সতর্ক করেছেন, লবণে সোডিয়াম রয়েছে এবং সোডিয়াম মানবদেহে একটি ইলেক্ট্রোলাইট। সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম বা খুব বেশি হলে তা শরীরের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যায়। উচ্চ মাত্রায় লবণ খাওয়া তরল ধারণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা আপনার ওজন বাড়াতে পারে।
নর্চার অ্যান্ড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস এক্সপার্টের প্রতিষ্ঠাতা শিখা আগরওয়াল বলেছেন, সকালে লবণ পানি পান করলে খারাপ হতে পারে। অত্যধিক লবণ পানি তরল ভারসাম্য ব্যাহত করে, কিডনিকে উচ্চতর সোডিয়ামের মাত্রা পাতলা করতে জল ধরে রাখতে প্ররোচিত করে, যার ফলে ফোলাভাব আসে।
লবণ পানি কারা খেতে পারেন
যাদের মাথা ঘুরায় তারা লবণ পানি খেতে পারেন। যেসব ক্রীড়াবিদ ভারি ব্যায়াম করেন তারা ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার জন্য লবণ পানি খেতে পারেন। কারণ তাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম ও প্রস্রাব শরীর থেকে নির্গত হয়।
লবণ পানি পান না করেও জল ধারণের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ছেন-
১. উচ্চ-সোডিয়াম খাবার কম খান।
২. সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সাহায্য করে।
৩. পটাসিয়াম সোডিয়ামের প্রভাব প্রতিহত করতে সাহায্য করে। তাই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কলা, শাক-সবজি বেশি খেতে হবে।
৪. নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করলে শরীরে জল ধরে রাখার ঝুঁকি হ্রাস পায়।